১৫ ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া এম এল আফসার উদ্দিন নামের লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২১ মার্চ) ভোর সোয়া ৫টার দিকে লঞ্চটি টেনে তুলে নদীরে তীরে আলামিননগর এলাকায় রাখা হয়।

পরে ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারীরা লঞ্চটির ভেতরে তল্লাশি চালায়। তবে লঞ্চের ভেতরে কোন মরদেহ পাওয়া যায়ানি।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম বলেন, রাত ১০টার দিকে বিআইডব্লিউটিএর উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয় ঘটনাস্থলে আসে।

পরে রাতভর চেষ্টায় ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে লঞ্চটি আলামিন নগর এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পারে আনা হয়। এরপর উদ্ধারকারী সংস্থা গুলো তল্লাশি চালায়। তবে লঞ্চে কোন মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

তিনি জানান, নদীতে উদ্ধার অভিযান অব্যহত রয়েছে। যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের উদ্ধারে নদীর তলদেশে ও নদীর কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তল্লাশি করা হবে।

যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় উদ্ধারকৃত ছয় জনের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে নৌ পুলিশ। যাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে তারা হলেন- মুন্সীগঞ্জ সদরের উত্তর ইসলাম পুরের ব্যবসাী জয়নাল ভূইয়া (৫৫), মুন্সীগঞ্জের সদরের আরিফা আক্তার (৩৫), তার ছেলে সাফায়েত (১৫ মাস), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সালমা বেগম (৪০), তার মেয়ে ফাতেমা (৭), মুন্সিগঞ্জ সদরের স্মৃতি (২০)।

নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ পুলিশ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, তাদের কাছে নিখোঁজের তালিকায় রয়েছেন ৫জন। তারা হলেন মুন্সীগঞ্জের হাতেম আলী, আরোহী, আব্দুল্লাহ আল জাবের, জোবায়ের হোসেন ও সোনারগাঁওয়ের উম্মে খায়রুন ফাতেমা।

 

কলমকথা / সাথী